গাজীপুরে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির ওপর হামলা ও কোপানোর ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিক তুহিনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) রাতে শহরের চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকার ঈদগাহ মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন স্ত্রী মুক্তা আক্তার ও দুই ছেলে তৌকির (৭) ও ফাহিম (৩) রেখে গেছেন। তিনি ২০০৫ সালে ফুলবাড়িয়া আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৭ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এপর গাজীপুর ভাওয়াল কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) সম্পন্ন করে তার ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসায় যুক্ত হন। পরে ওষুধ কোম্পানির চাকরি করার পাশাপাশি ২০১২ সালে সাংবাদিকতায় নিযুক্ত ছিলেন।
গাজীপুরের বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিন খান গনমাধ্যমে বলেন, আজ দুপুরে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ভিডিও ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাক্তিদের শনাক্তে কাজ চলছে।
এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার রবিউল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমে জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা মোড়ে বাদশা মিয়া নামের এক ব্যক্তি এক নারীর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে বাদশা ওই নারীকে আঘাত করলে একদল সন্ত্রাসী নারীর পক্ষ নিয়ে ধারালো চাপাতি হাতে তাকে আঘাত করে। ওই ঘটনার মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন। এসময় সন্ত্রাসীরা তুহিনকে ভিডিও ডিলেট করতে বললে দিতে তিনি অস্বীকার করলে তাকে ধাওয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।