বগুড়ার শিবগঞ্জে পেয়ারা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় পরিবেশ। গ্রামবাসী হত্যার সন্দেহে তার সতীন রেনু বানুকে বাড়ির পাশের একটি গাছে বেঁধে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির জিম্মায় দেয়।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (০৭ আগস্ট) সকালে, শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামে। পুলিশ জানায়, মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত পেয়ারা বেগম ছিলেন ভ্যানচালক বকুল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার স্বামীর চার স্ত্রী থাকলেও বর্তমানে জীবিত রয়েছেন দুইজন। দুই সতীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। কয়েকদিন আগে তাদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে।
নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, গত রোববার রেনু বানু তাকে মারধর করেন। এর জেরে পেয়ারা বেগম অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার সকালে ঘরের ভিতরে তার নিথর দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। সঙ্গে সঙ্গে হত্যার অভিযোগ তুলে রেনু বানুকে গাছে বেঁধে রাখে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীনুজ্জামান বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।