বগুড়ার ধুনটে মাঠপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই নৈশ প্রহরীকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তাকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে নিয়ে এক সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযুক্ত নৈশ প্রহরী তোজাম্মেল হক (৫৬)। উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। তিনি প্রায় ৩২ বছর ধরে একই বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে বিদ্যালয়ে যায়। তখন প্রাইভেট শিক্ষকের মায়ের মৃত্যুজনিত কারণে ক্লাস বন্ধ ছিল। শ্রেণিকক্ষে অন্য কোনো শিক্ষার্থী না থাকায় নৈশ প্রহরী সেখানে প্রবেশ করে ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। পরে ওই ছাত্রী কৌশলে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে বাড়ি গিয়ে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়।
এরপর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে গত ১০ আগস্ট নৈশ প্রহরীকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে শোকজ করা হয় এবং দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ১৩ আগস্ট তোজাম্মেল হক শোকজের জবাব জমা দিলেও তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে তোজাম্মেল হক গণমাধ্যমে বলেন, “আমি শুধু ওই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষ থেকে বের করে দিয়েছি। শ্লীলতাহানির অভিযোগ সঠিক নয়।”
মাঠপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমে বলেন, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”