নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক অগ্রযাত্রাকে থামানোর জন্য একটি গোষ্ঠী সুপরিকল্পিতভাবে নারীদের ঘরে আবদ্ধ রাখার চেষ্টা করছে, এমন অভিযোগ করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।
তিনি বলেন, “একটি দল সুকৌশলে নারীদের ঘরে আবদ্ধ করতে চায়। কিন্তু বিএনপি নারীদের সঙ্গে নিয়েই রাষ্ট্র মেরামত ও উন্নয়নের রাজনীতি করতে চায়।”
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মো. সিরাজের পক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে শেরপুর পৌর শহরের ডিজে হাইস্কুল খেলার মাঠে নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নিপুন রায় বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছিলেন এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারী শিক্ষার প্রসারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। অথচ বর্তমান সময়ে নারীদের নিরাপত্তা ও সম্মান প্রশ্নবিদ্ধ। তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠা বিএনপির আগামী দিনের রাজনীতির অন্যতম অগ্রাধিকার হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক বেগম সেলিমা রহমান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিধন্য বগুড়া জেলা দেশের গর্ব। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে নিরাপদ ও বৈষম্যহীন। তিনি তরুণ ভোটারদের ‘প্রথম ভোট ধানের শীষে’ দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। এছাড়া ধানের শীষের প্রার্থী ও সাবেক এমপি গোলাম মো. সিরাজ উপস্থিত জনতার কাছে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা শফিকুল আলম তোতা, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বগুড়া জেলা ও শেরপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য আসিফ সিরাজ রব্বানি, সহসভাপতি পিয়ার হোসেন পিয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোমিন, যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুজ্জামান পলাশ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রসিদ আপেল, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফুদৌলা মামুন, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কাউসার কলিন্সসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, নারীদের ওপর নির্যাতন ও নিপীড়নের বিচার নিশ্চিত এবং তাদের মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বিএনপিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আনাই একমাত্র বিকল্প। সমাবেশে নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়।


