বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অপহরণ, গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। তিনি প্রসিকিউশন অফিসে পূর্ণ বিবরণসহ লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। চিফ প্রসিকিউটরের বরাবর অভিযোগটি দাখিল করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সুখরঞ্জন বালি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাঈদী একজন ভালো লোক ছিলেন। তার জানাজায় গিয়েছিলাম আমি।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে অপহরণ করে আটক রাখা হয় এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তার দাবি, এ ঘটনার আইনি প্রতিকার পাওয়া তার অধিকার।
সুখরঞ্জন বালির অভিযোগ, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে এলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ২ মাস ১৭ দিন ‘গুম’ অবস্থায় রাখার পর সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি পাঁচ বছর জেল হাজতে ছিলেন বলেও জানান।
সুখরঞ্জন বালির আইনজীবী পারভেজ হোসেন বলেন, এ অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, সাবেক প্রসিকিউটর হায়দার আলীসহ ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। ওই মামলার প্রেক্ষিতে সাক্ষী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা তখন আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচনায় আসে।