বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের বসাকপাড়া এলাকায় খাস খতিয়ানভুক্ত জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে একটি পরিবারকে ঘরে তালাবদ্ধ করে অবরুদ্ধ রাখার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবার সংবাদ সম্মেলন করে দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও নিরাপত্তা দাবি করেছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে দিলীপ মোহন্ত নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, তার পরিবার দীর্ঘ ৭০ বছর ধরে জেএল নং-১০৯, খতিয়ান ১/১, দাগ নং-৬৫৫ নম্বরের খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় ৩ শতাংশ জমিতে বসবাস করছে। ওই জমিতে তাদের পৈত্রিক ঘরবাড়ি রয়েছে এবং নিয়মিত পৌরকর ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করেন, সম্প্রতি একই এলাকার দেবাশীষ কিশোর মুন্সী, জয় কিশোর মুন্সী, সুবল কিশোর মুন্সী ও ধ্রুবজ্যোতি কিশোর মুন্সী সহ কয়েকজন জমিটি নিজেদের পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে তাদেরকে নানা হুমকি-ধমকির মাধ্যমে উচ্ছেদের চেষ্টা চালান।
২৪ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে দিলীপ মোহন্ত ও তার স্ত্রী কাজলী মোহন্তকে ঘরের ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। একপর্যায়ে ৯৯৯-এ কল করলে থানা পুলিশ গিয়ে তালা খুলে তাদের মুক্ত করে।
দিলীপ মোহন্ত বলেন, “যদি জমিটি তাদের হতো, তাহলে সাত দশকে কোনো দাবি না তুলে এখন কেন উচ্ছেদের পাঁয়তারা চলছে? শুনেছি, তারা নাকি ভূমি অফিস থেকে একটি কাগজ তৈরি করেছে, কিন্তু আমাদের জানানো হয়নি। আমরা চাই সরকারিভাবে তদন্ত করে খাস জমির স্থায়ী বন্দোবস্ত দেওয়া হোক।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ সুবল কিশোর মুন্সী বলেন, “ওই সম্পত্তি আমাদের পৈতৃক। খতিয়ানে যখন জায়গাটি প্রকাশ পায়, তখন আমরা সেখানে যাই। বসবাসরত অন্যরা আমাদের কাছ থেকে দলিল করে নিয়েছে, শুধু এই পরিবারটি দখল ছাড়ছে না এবং কথাও বলছে না। আমরা সেখানে গিয়েছিলাম, পরে প্রশাসনের অনুরোধে ফিরে এসেছি।”
এ বিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মইনুদ্দিন বলেন, “বাড়ির গেটে তালা লাগানোর ঘটনায় পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবারটিকে অবমুক্ত করেছে। তবে এ পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।