জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেছেন, দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংস্কার না হওয়ার পেছনে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দায়ী করা উচিত।
সোমবার (১০ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় শ্রমিক শক্তির আয়োজনে ‘জুলাই সনদে শ্রমিক শ্রেণির রাজনৈতিক অবমূল্যায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
সারোয়ার তুষার বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলোর বাধার কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার সম্ভব হয়নি। জামায়াত আঙুল বাঁকা-সোজা করার কথা বলছে, আর বিএনপি বলছে রাস্তায় নামার কথা। এ দুই দল নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের বাইরে কোনোকিছুকেই মূল্যায়ন করে না। নৌকার ভোট পেতে দুই দলই বেলেল্লাপনা করছে।”
বিএনপির জুলাই সনদ সংক্রান্ত অবস্থানেরও তীব্র সমালোচনা করে তুষার বলেন, “বিএনপি কমিশনে একমত হয়ে, জুলাই সনদ আদেশ ও গণভোটে একমত হয়ে এখন অস্বীকার করছে। বিএনপি দাবি করে জনগণ গণভোট বুঝে না, কিন্তু তাদেরই জন্ম গণভোটে। বিএনপির ডিমেনশিয়া হয়েছে, তারা নিজেদের ৩১ দফাই মানছে না।”
সরকারের ভূমিকাও সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সরকার জনগণের সঙ্গে সাপ-লুডু খেলতে শুরু করেছে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি রোডম্যাপ তৈরির পর তা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ঠেলে দেয়ার প্রয়োজন ছিল না। সরকার নিরপেক্ষতার কথা বলছে, কিন্তু নিরপেক্ষতা মানে নিষ্ক্রিয়তা নয়—সরকার নিরপেক্ষ হয়ে যে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, সেটাই সমস্যা।”
তুষার আরও বলেন, “জুলাই সনদের আইনিভিত্তি ছাড়া কোনো ধরনের নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে না। সনদ বাস্তবায়ন না করে নির্বাচন দিলে তা সুষ্ঠু হবে না। ৬৭ শতাংশ নির্বাচনী কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ—এভাবে জনগণ কিভাবে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে ভরসা রাখতে পারবে?” তিনি মনে করান, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে সনদ বাস্তবায়ন জরুরি।
আলোচনা সভায় শ্রমিক নেতারা রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণ ও নির্বাচনী সংস্কারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং নারীর ও শ্রমিক শ্রেণির রাজনৈতিক মর্যাদা সংরক্ষণের আহ্বান উচ্চারণ করেন।


