জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর আরেকটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর চট্টগ্রামে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
গণমাধ্যমে চট্টগ্রাম জামায়াতের একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন, গত ১৩ নভেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় গণসংযোগে তিনি এই বক্তব্য দেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, বক্তব্যের শুরুতেই তিনি উপস্থিত লোকজনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আল্লাহর ওয়াস্তে বাড়াবাড়ি করিয়েন না। আমার নাম শাহজাহান চৌধুরী। অনেক জনে নাকি উল্টাপাল্টা বলতেছে, খবরদার আমাকে যারা চেনেনি তারা এখনও মাটির নিচে বসবাস করে। আমি চোখ তুলে দেখতেছি, আমার জন্য আল্লাহ আছে। আল্লাহ’র মেহেরবানি, আমার জন্য সূর্য দাঁড়িয়ে থাকবে।”
সেই সময় তিনি আরও বলেন, “চুদুর বুদুর করিও না। লুলা হয়ে যাবে। আমি যদি চোখের পানি ফেলি, লুলা হয়ে যাবে। আমি অনেক কষ্ট পেয়েছি-১৮ বছরের মধ্যে ৯ বছর জেল খেটেছি। টাকাপয়সা চাইনি, ধনদৌলত চাইনি, পরিবারকেও কিছু চাইনি। আজ আপনাদের দুয়ারে এসেছি।”
বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি চরতী এলাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “এই চরতী আমার শায়েখ, ওস্তাদ মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর জন্মস্থান। আমি এলাকাকে সম্মান করি, এই মাটিকে সম্মান করি। এখানে কোনো রাজনীতি নাই। এখানো কোনো মার্কা নাই—সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মার্কা একটাই, দাঁড়িপাল্লা।”
এর আগে গত ২২ নভেম্বর চট্টগ্রামের নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের এক সমাবেশে দেওয়া তার আরেকটি বক্তব্যও সমালোচনার মুখে পড়ে। সেখানে শাহজাহান চৌধুরী প্রশাসনকে ‘কব্জায় আনা’ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কেন্দ্রীয় জামায়াত তাকে শোকজ করে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নোটিশ দেয়। নোটিশে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা না পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও উল্লেখ রয়েছে।
পরপর দুইটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় চট্টগ্রামের স্থানীয় রাজনীতি থেকে শুরু করে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


