বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার মেয়ে জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরছেন। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন বলে জানিয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তারেক রহমানকে বহনকারী ফ্লাইটটি ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টার পর ঢাকায় অবতরণ করবে। তিনি তার মেয়েকেও সঙ্গে নিয়ে আসবেন।
এর আগে দুপুরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, তারেক রহমান বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফিরবেন। ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন, সেখানে তিনি তার অসুস্থ মা ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন।
এদিকে তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে ঐতিহাসিক জনসমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং এ জন্য দলের বিভিন্ন কমিটি কাজ করছে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে নানা আলোচনা চললেও ২৩ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ার পর তিনি জানান, দেশে ফেরার বিষয়টি একক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। পরে ১২ ডিসেম্বর বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান।
এরই মধ্যে তার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে একটি অভ্যর্থনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং অভ্যর্থনার স্থান নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতা নেওয়া সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেন তারেক রহমান। ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে মুক্তি পাওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।


