আমাকে পরেও গালি দিতে পারবেন, এখন দুর্গত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসুন বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। ২০০২ সালের আবারও ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে দেশের বেশ ৮টি জেলা। ইতোমধ্যে ইন্টারনেটসহ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে ফেনীর এক থেকে দুই লাখ মানুষ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছেন তারা।
এমন অবস্থায় বন্যাদুর্গতদের সহযোগীতায় এগিয়ে আসছে বাংলাদেশ সেনবাহিনী, নৌবাহিনীসহ দেশের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ। সকলেই নিজ নিজ উদ্যেগে ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, মৌলভীবাজারের মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সকাল থেকেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে একের পর এক জনসচেতনামূলক পোস্ট শেয়ার করে যাচ্ছেন তিনি। যে সকল ফেসবুক পোস্টে বন্যার্ত মানুষদের সাহায্যের আহ্বান জানানো হচ্ছে। একইসঙ্গে যারা এখন পর্যন্ত প্রতিকূল অবস্থা থেকে যারা উদ্ধার হতে পারেননি, তাদের তথ্যগুলোও তুলে ধরার চেষ্টা করছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয়ে শুরু থেকেই নীরব থাকা পূর্ণিমা হঠাৎ করেই বন্যার্ত মানুসের পাশে দাঁড়ানোয় নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েছেন তিনি। অনেকেই তার সরব হওয়ার আলোচনা সমালোচনায় মেতেছেন। বিষয়গুলো পূর্ণিমা নিজেও টের পেয়েছেন। যে কারণে সমালোচকদের উদ্দেশে একটি বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
আজ সকাল ৯ টার ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে পূর্ণিমা লেখেন, আমাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য, গালাগলি আপনারা চাইলে পরেও দিতে পারবেন। কিন্ত এখন বন্যার্ত মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে আসি।
পূর্ণিমার ওই পোস্টে তার অধিকাংশ ভক্তরাই একমত পোষণ করেছেন। তার ভক্তরা বলছেন, এখন সবাইকে ঐক্যের সাথে কাজ করার সময়। এখন একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর সময়। অযথা আলোচনা সমালোচনায় না মেতে আসুন পরস্পরকে সহযোগীতা করি।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বন্যা দেখা দিয়েছে বাংলাদেশসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে। বন্যার কারণে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার ডুম্বুর জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বাঁধ খুলে দিয়েছে। এর ফলে গোমতী ও ফেনী নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের বেশকয়েকটি জেলা তলিয়ে গেছে। আখাউড়া, মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে।