ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জান মালের নিরাপত্তার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আদিবাসী সমন্বয় কমিটি। বুধবার (০৮ মে) বেলা ১১ টায় বগুড়ার শেরপুরে পৌর শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সমন্বয় কমিটির সভাপতি সন্তোষ সিং বাবু। এসময় সিপিবির শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি হরিশংকর সাহা, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রীকান্ত মাহাতো, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম বগুড়া জেলার সভাপতি বাসুদেব বাগদী, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়নের শেরপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি কমল সিং প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সন্তোষ সিং তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ওপর ২০টিরও বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, লুটপাট, আবাদি জমি ও পুকুর দখল, সৎকারে ব্যবহৃত শ্মশান ও কালী মন্দির ভাঙচুর এবং শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুকে গুরুতর আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এসব নিয়ে এ পর্যন্ত শেরপুর থানা-পুলিশের কাছে অন্তত ২০টি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র তিনটি অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করলেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি।
একই ব্যক্তিরা গত ৬ মার্চ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী নেতা ও ভবানীপুরের ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার সরকারের বাড়িতে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে হামলা চালিয়ে ৯ বিঘা পুকুরের মাছ লুটে নেয়। এ সময় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি। একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও দুইমাস ধরে তিনি ঘর ছাড়া। এর মধ্যেই গত (০২ মে) তার জমি থেকে সশস্ত্র অবস্থায় ধান কেটে নেওয়া হয়েছে। থানায় অভিযোগ দেওয়া হলেও এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, আমরা মনেকরি আন্দোলনের মাধ্যমেই আমাদের দাবি আদায় করতে হবে। তাই আদিবাসীদের তিনটি সংগঠনের “আদিবাসী সমন্বয় কমিটি” নামে একটি জোট গঠন করা হয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের উপর হামলা ও সম্পদ লুটপাটকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মালা প্রত্যাহার ও জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ২০১৮ সালের গঠিত তদন্ত কমিটির চিহ্নিত খাস জমি, পুকুর ও দেবত্তোর সম্পত্তি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠিদের বন্দোবস্তো করে দেওয়ার দবিতে আগামী ১৩ মে ২০২৪ তারিখ সোমবার সকাল ১১ টায় শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী ঘোষণা করছি।