চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (০৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ ভোটগ্রহণ চলবে এদিন বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০টি উপজেলার ভোট আগামী রবিবার (৯ জুন) অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনী উপজেলাগুলোতে ভোট উপলক্ষ্যে বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন থেকে বিষয়টি জানা যায়।
এদিকে উপজেলা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোট প্রদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৬৭ হাজার ৭০৭ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
নির্বাচন উপলক্ষ্যে গত মঙ্গলবার (০৪ জুন) রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় মাইক্রোবাস, ট্যাক্সিক্যাব, ট্রাক, পিকআপ, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোট (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোটগ্রহণের ২ দিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চতুর্থ ধাপে ৬০টি উপজেলায় ১ জন চেয়ারম্যান, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই ধাপের মোট ভোটার ২ কোটি ১৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি।
দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫টি উপজেলায় ৪ ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলায় ভোট হয়েছে গত বুধবার (০৮ মে)। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন প্রার্থী নির্বাচিত হন।
দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬টি উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হন ২২ জন প্রার্থী। গত মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। গত বুধবার (২৯ মে) তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬.২৪ শতাংশ। আর ২৩টি উপজেলার নির্বাচন নানা কারণে বাতিল ও স্থগিত করা হয়েছে।