গোসলের সময় নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর মরদেহ মিলল একটি পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পুকুরে গোসলের সময় এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত কিশোরীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। জড়িতদের আটকের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
জানা গেছে, ভাঙ্গা পৌর সদরের হোগলাডাঙ্গি সদরদী গ্রামের মো: আব্দুল হাই মাতুব্বরের মেয়ে রেখা আক্তার শুক্রবার দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। এ সময় সেখান থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে পাশের একটি পাটক্ষেতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে এবং মরদেহ পটক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।
দুপুরের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা ওই কিশোরীকে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে নিহত কিশোরীর চাচা বিকালে ক্ষেতে কাজ করতে গেলে কিশোরীকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত কিশোরীর বাবা মো: আব্দুল হাই মাতুব্বর জানান, শুক্রবার দুপুরে মেয়ে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। মেয়ে দীর্ঘসময় হলো বাড়িতে না ফিরে আসায় আমরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকি। এর একপর্যায়ে আমার এক ভাই পাটক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দেখতে পায় মেয়ের মরদেহ পরে রয়েছে। পরে আমাদের সংবাদ দিলে আমরা গিয়ে দেখি মেয়ের মৃতদেহ। যারা আমার মেয়েকে এমন নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের শাস্তি চাই।
সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই ও ডিবির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহেন শাহ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, সুরতহাল শেষে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর ওই কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটকের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।