সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবার শুধু মোবাইল নেটওয়ার্কে বন্ধ করা হয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্কে রাশিয়াভিত্তিক মেসেজিং অ্যাপ ‘টেলিগ্রাম’ও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা শুরু হলে গত ১৭ জুলাই (বুধবার) রাত থেকে ৩১ জুলাই (বুধবার) দুপুর পর্যন্ত মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ ছিলো। গত ৩১ জুলাই দুপুর ২টার পর থেকে তা চালু করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (০২ আগস্ট) বেলা ১২টার পর মোবাইল নেটওয়ার্কে মেটার প্ল্যাটফর্মগুলোর ক্যাশ সম্পুর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানায়, বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) রাত থেকে দেশে ইন্টারনেটে গতি স্বাভাবিক হচ্ছিলো। এ দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ১২ কোটির অধিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক মোবাইল ডেটায় বন্ধ থাকলে আবার ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক)-এর ব্যবহার বাড়বে এবং তা ইন্টারনেটের গতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে।
গত ১৭ জুলাই রাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাত থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সম্পুর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ৫ দিন পর ২৩ জুলাই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সীমিত পরিসরে চালু হয়।
আর ১০ দিন পর ২৮ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়। কিন্তু বন্ধ ছিলো মেটার প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপ। এ ছাড়া টিকটকও বন্ধ রাখা হয়েছিলো। আরেকদিকে ব্রডব্যান্ড সংযোগে ইউটিউব চালু থাকলেও মোবাইল ডেটায় তা বন্ধ ছিলো।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী মো: জুনাইদ আহমেদ পলক কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় ফেসবুকের সর্বোচ্চ ভূমিকার কথা বলেছিলেন। ঘটনার বিষয়টির ব্যাখ্যা চেয়ে এসব প্ল্যাটফর্মগুলোর কাছে চিঠিও দিয়েছিলেন।
পলক গত ৩১ জুলাই ফেসবুকের সাথে অনলাইনে বৈঠক করেন। ইউটিউব ইমেইলে ব্যাখ্যা দেয় এবং টিকটকের প্রতিনিধি সেদিন হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আন্দোলনের মধ্যে সরকার ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কাছে কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিলো।
বৃহস্পতিবার জুনাইদ আহমেদ জানান, ১৬ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত সরকারের অনুরোধে ফেসবুক ১৩ শতাংশ এবং ২৫ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ৭ শতাংশের বেশি কনটেন্ট সরিয়েছে। ইউটিউব ১৭-২৬ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ২১ শতাংশ কনটেন্ট সরিয়েছে। টিকটক সরিয়েছে প্রায় ৬৮ শতাংশ কনটেন্ট।