মুরগির ডিম নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পেঁয়াজের কেজি হাঁকাচ্ছে সেঞ্চুরি দামে। বেশকিছু নিত্যপণ্যের দামও চড়া। এমন পরিস্থিতিতে পণ্য কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। বাজারে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় নাজেহাল হয়ে পড়ছেন নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা।
শুক্রবার (২৮ জুন) ছুটির দিন সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড়ে বাজার জমজমাট। খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাদের ডিমের ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। পাইকারিতে মুরগির ডিম পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পাড়া-মহল্লায় প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা।
এদিকে, আবারো চড়ছে মুরগির বাজার। মাত্র ১ সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। জিনিসপত্রের সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে ৭দিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা।
কাঁচামরিচ কেজিতে ঠেকেছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বেগুনের কেজি নেয়া হচ্ছে ৮০ টাকা। পটল ও ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা। তবে কচুর লতি, কাঁকরোল, বরবটি বিক্রি হচ্ছে আরো ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ প্রতি কেজি ৮০ টাকার আশপাশে।
গেল সপ্তাহে পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা ১ সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, তত দাম বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে তা সঠিক বলা যাচ্ছে না। স্বস্তি নেই আদা ও রসুনের দামে। আলু প্রতি কেজিতে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।