কুমিল্লায় একটি বিদ্যালয়ের অরক্ষিত সেপটিক ট্যাংকে পড়ে মোসাম্মৎ নূর নামে তিন বছর বয়সী এক ফুটফুটে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আমড়াতলী ইউনিয়নের উত্তর রসুলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোসাম্মৎ নূর আমড়াতলী ইউনিয়নের প্রবাসী মোহাম্মদ রিজওয়ান হোসেনের মেয়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২ মাস আগে শুরু হয় ওই বিদ্যালয়ে সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণ কাজ। কিন্তু ঠিকাদার এ কাজ সময়মতো শেষ করেননি। অর্ধেক কাজ করে ফেলে রাখার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
রসুলপুর এলাকার বাসিন্দা শামীম আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী ছাড়াই সেপটিক ট্যাংকের কাজ ফেলে রাখা হয়। ট্যাংকের জন্য করা গর্তটি বৃষ্টির পানিতে ভরে যাওয়ায় শিশুটি অসাবধানতাবশত গর্তের মধ্যে পড়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে শিশু নূরের মরদেহ গর্তে ভেসে ওঠে।
বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকার কারণে অভিযুক্ত ঠিকাদার এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোহাম্মদ স্বপন আহমেদ জানিয়েছেন, আমরা বারবার ঠিকাদারকে বলেছিলাম তারা যেন সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণ কাজ খুব দ্রুত শেষ করেন। ঠিকাদার এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ মৃত্যুর দায় এড়াতে পারেন না।
কুমিল্লায় বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকে পড়ে শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো: আবদুর রহিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই নিহত শিশুর মরদেহ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে যায়। তারা মামলা করতে আগ্রহী নন।