কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র ৩দিন। শেষ সময়ের বেচা-কেনা চলছে। মসলার দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। তবে দাম বেশি বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। শুক্রবার (১৪ জুন) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, কালীগঞ্জ, আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার, রায়সাহেব বাজার ও শ্যামবাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
কোরবানির ঈদের শেষ সময়ে জমে ওঠেছে পশু বেচা-কেনা। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলা কেনার ধুম। প্রতিটি দোকানেই বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। তবে মসলার দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করে ক্রেতারা জানান, ঈদের আগে ইচ্ছে করে এসব মসলার দাম বাড়িয়েন দোকানিরা।
মো: আফজাল হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, বাজারে মসলার দাম এমনিতেই অনেক চড়া। ঈদের শেষ সময়ে সেটি আরও বেড়ে গেছে। প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকার কাছাকাছি। অন্যান্য মসলার দামও বাড়তি।
রাজধানীর শ্যামবাজারের মসলা ব্যবসায়ী মো: রাশেদ জানিয়েছেন, এবারের বাজারে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচের দাম। মানভেদে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। গত কোরবানির ঈদেও যা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।
কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাজারের ব্যবসায়ী মো: ইউসুফ জানান, আর মাত্র কয়েক দিন বাদে ঈদ। এতে বাজারে ক্রেতাদের চাপ ও চাহিদা বেড়েছে। তাই মসলার দামও বেড়েছে।
বাজারে এলাচ প্রকারভেদে ৩২০০ থেকে ৪০০০ টাকা, লবঙ্গ ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা, জিরা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, সাদা গোলমরিচ ১৪০০ টাকা, কালো গোলমরিচ ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
আর ইন্ডিয়ান শুকনা মরিচ ৩৮০ থেকে ৪২০ টাকা, দেশি শুকনো মরিচ মানভেদে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, কাজুবাদাম ১২৫০ থেকে ১৩০০ টাকা, আলুবোখারা ৯৫০ টাকা, কাঠবাদাম ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা, পাঁচফোড়ন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, হলুদ ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা ও ধনিয়া ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে বাড়তি আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বাজারে খুচরা মূল্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । আর পাইকারিতে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া কেজিতে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা করে। এছাড়া কেজিতে ২০-৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে আদা বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায়।