গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে স্থানীয় ১টি পুকুরে বালু খুঁড়লেই একের পর এক বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন আকৃতির প্রাচীন আমলের ধাতব দেব-দেবীর মূর্তি। তবে মূর্তিগুলো নারী আবক্ষের ব্রোঞ্জের তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মূল্যবান সম্পদ মনে করে স্থানীয় শিশুরা প্রতিদিন বালু খুঁড়ে এসব মূর্তি তুলে নিয়ে আসছে। মূর্তি গুলো একনজর দেখতে ওই পুকুর পাড়ে ভিড় করছেন উৎসুক জনগন। তবে এরকম আকৃতির মূর্তি এর আগে কখনও দেখেননি স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১ সপ্তাহ আগে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের গুঘালিয়া গ্রামের ১টি পুকুরে গোসল করতে গিয়ে বালুর মধ্যে নানা আকৃতির দেব-দেবীর মূর্তি দেখতে পায় স্থানীয় শিশুরা। পরে তারা বালু খুঁড়ে আরও বেশ কয়েকটি মূর্তি পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। এভাবে বালু খুঁড়তেই একের পর এক মূর্তি উঠে আসছে। এ সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই পুকুটির মালিক পার্শবর্তী সরাইকান্দি গ্রামের মো: বদরুল আলম শেখ।
এদিকে, শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: রাশেদুজ্জামান বিষয়টি স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পেরে ফুকরা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন দেব-দেবীর প্রায় অর্ধশতাধিক মূর্তি ও সেগুলোর অংশবিশেষ উদ্ধার করে নিয়ে যান।
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে ধাতব মূর্তি উদ্ধারের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুজ্জামান জানান, আমি মূর্তির বিষয়টি জানতে পারি। পরে ঘটনাস্থল থেকে মূর্তিগুলো উদ্ধার করা হয়। এ মূর্তিগুলো জেলা প্রশাসকের ট্রেজারে (কোষাগারে) জমা দেওয়া হবে। প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বলতে পারবে এ মূর্তিগুলো কিসের তৈরি। তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা ধারণা করছেন এসব মূর্তি নারী আবক্ষের ব্রোঞ্জের তৈরী।