প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের সক্রীয় কর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যাকাণ্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল।
রোববার (২০ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।
রাকিব বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মেহেরাজ ইসলাম, সোবহান নিয়াজ তুষার ও হৃদয় মিয়াজীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী পারভেজের বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।” তিনি অভিযোগ করেন, তুচ্ছ একটি ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি মীমাংসা করলেও পরে ক্যাম্পাসের বাইরে পারভেজকে হামলার শিকার হতে হয়।
ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সংগঠনের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে থাকা একটি চক্র। তিনি তাদের বিরুদ্ধে “ছাত্রলীগ স্টাইলে” সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বের রাজনীতির অভিযোগও তোলেন।
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে দেওয়া একটি পোস্টকে ‘অশোভনীয়’ আখ্যা দিয়ে রাকিব বলেন, “তদন্ত শুরুর আগেই অভিযুক্তদের পক্ষ নেওয়া এ সংগঠনের পক্ষপাতদুষ্ট অবস্থানকে স্পষ্ট করে।”
এদিকে নিহত পারভেজের ভাই রাজধানী বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ জন শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল সারোয়ার জানান, মামলার তদন্ত চলছে এবং আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা গেছে, গতকাল বিকেলে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দু’জন ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে পারভেজের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা হয়। বিষয়টি মীমাংসার পর ক্যাম্পাস ত্যাগ করার সময় একদল যুবক তার ওপর হামলা চালায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পারভেজকে মৃত ঘোষণা করেন।