বগুড়ার শেরপুরে নাশকতা ও সহিংসতার দুই পৃথক মামলায় আওয়ামী লীগপন্থী তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত দুটি ঘটনায় দায়ের করা মামলায় এজাহারভুক্ত ও তদন্তেপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন কুসুম্বি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শওকত আলী (৪৫)। তিনি উপজেলার দারুগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার মোঃ আঃ রউফের ছেলে। মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেরপুর উপজেলার কেল্লাপোষি বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
একই দিন বিকেলে শেরপুর উপজেলার ছোনকা বাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় মোঃ শাহীনুর রহমান (৩০) কে। তিনি ছোনকা গ্রামের বাসিন্দা এবং আওয়ামী লীগ সমর্থক। তাঁর পিতা মৃত নুরুল ইসলাম।
অপরদিকে, মোঃ আব্দুল খালেক (৪৬) নামের আরও একজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয় চান্দাইকোনা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে। তিনি মির্জাপুর ইউনিয়নের বিরইল গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা তাকেয় গ্রেফতার করা হয়।
২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বগুড়া-৫ আসনে বিএনপির প্রার্থী জি এম সিরাজের নির্বাচনী প্রচারণার সময় শেরপুর উপজেলার গোঁসাইবাড়ি বটতলায় তাঁর গাড়িবহরে বিস্ফোরণ ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির কুসুম্বি ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করা হয়।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিলে হামলা চালানো হয় শেরপুরের ধুনটমোড় এলাকায়। মিছিলটি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে চলছিল। এ ঘটনায় আন্দোলনকারী রিফাত সরকারসহ একাধিক ব্যক্তি আহত হন। ঘটনার চার মাস পর, ২ নভেম্বর শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “গ্রেফতারকৃত তিনজনকে আলাদা মামলায় এজাহারভুক্ত ও তদন্তের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”