ভারতে পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় এবং বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় লাগামহীনভাবে বাড়ছে দাম। দেশটির বাজারে গত ২ সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০-৫০ শতাংশ। ১৭ রুপি কেজির পেঁয়াজ পাইকারি বাজারে ৩০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ এর এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহে ঘাটতি থাকায় ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। সাধারণত কৃষক ও ব্যবসায়ীরা তাদের মজুত করে রাখা পেঁয়াজ এই জুন মাসেই বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। তবে এবার কৃষকরা বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন।
তাদের ধারণা, ২০২৩-২৪ রবি মৌসুমে পেঁয়াজের উৎপাদন কম হবে এবং এতে দাম বাড়বে। এর পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও দাম বৃদ্ধির আশায় পেঁয়াজ মজুত করে রাখছেন। কেন্দ্রীয় সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন, সেগুলো শিথিল হবে বলে এখনো আশা করছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
তবে পেঁয়াজ রফতানির ওপর কেন্দ্রীয় সরকার ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় তেমন সুবিধা নিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। যার ফলে কমেছে পেঁয়াজের রফতানি। তবে ব্যবসায়ীরা জানান, আসন্ন ঈদুল আজহার কারণে বাজারে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের চাহিদা।
সোমবার (১০ জুন) পেঁয়াজের অন্যতম বড় বাজার মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাসিকের লাসালগাঁওয়ে পাইকারি হারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৬ রুপি করে। গত ২৫ মে (শনিবার) এই পেঁয়াজ কেজিতে ১৭ রুপি বিক্রি হয়েছিলো। পাইকারি বাজারে সবচেয়ে ভালো মানের পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ৩০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বাংলাদেশি আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, ভারত থেকে রপ্তানিকৃত প্রতি টন পেঁয়াজের মূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ টাকা পড়তে পারে। পাইকারিতে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও খুচরা মূল্য কিছুটা বেড়ে ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হবে। তাই ভারতের পক্ষ থেকে রপ্তানি মূল্য আরও কিছুটা কমানো দরকার ছিলো। কারণ ভারতে এ বছর অনেক পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।