রাজধানীর উত্তরায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পিত্তথলিতে অপারেশন করাতে গিয়ে মোছা: শামিমা আক্তার মুন্নি (৩৮) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শামিমার পরিবার জানান, বমি ও পেটের ব্যথা নিয়ে তারা গাজীপুর থেকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত হাই কেয়ার জেনারেল হাসপাতালে শামিমাকে ভর্তি করালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা পর সেখানকার ডাক্তার জানান শামিমার পিত্তথলিতে পাথর হয়েছে, তাকে অপারেশন করাতে হবে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ডা. নাজিবুল ইসলাম পিত্তথলির অপারেশন করান।
শামিমার ভাই মো: শফিকুল জানান, নিউরোলজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মিয়ার পরামর্শে আমরা এই হাসপাতালে এসেছি। তিনি আমাদেকে বলেছিলেন এই হাসপাতালে ডা. মহিদুজ্জামান টনি বসেন। তারা সবাই মিলে এ অপারেশন করবেন। কিন্তু অপারেশনটি করেছেন ডা. মহিদুজ্জামান টনির মেয়ের জামাই ডা. নাজিবুল ইসলাম।
তিনি আরও জানান, মাত্র আধা ঘণ্টার একটা অপারেশন তারা ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত কী করেছে না করেছে কিছুই বুঝতে পারছিনা। অপারেশনের সময় আমাদেরকে বলেছে ব্লাড লাগবে। আমরা ডোনার এনে ব্লাড সংগ্রহও করেছি। অপারেশনের পর-পরই সব ডাক্তার চলে যায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার এসে জানান যে, রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ রোগীকে আইসিইউতে নিতে হবে।
শফিকুল আরও বলেন, সোমবার থেকেই আমরা বুঝছিলাম কোনো একটা সমস্যা হয়েছে। সেখানকার ডাক্তাররা বলছিলো, ডোনারের ব্লাডে সমস্যা ছিল, আবার কেউ বলছে অ্যানেস্থেশিয়া বেশি হওয়ায় রোগীর জ্ঞান ফিরতে দেরি হচ্ছে। সবশেষ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় আমাদের রোগী নাকি মারা গেছে। আমার বোনের এই মৃত্যুর পেছনে ডাক্তাদের ‘ভুল চিকিৎসা’ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
রাজধানীর উত্তরায় চিকিৎসা নিতে এসে রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে হাই কেয়ার জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো: ওমর ফারুক জানান, স্যাররা (চিকিৎসকরা) আমাদেরকে বলেছেন ল্যাপারোস্কপির মাধ্যমে রোগীর পিত্তথলির অপারেশন সম্ভব হচ্ছিল না তাই এটা ওপেন করতে হবে। দীর্ঘ সময়ের অপারেশন। এতে কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে সমস্যা হয়, এই রোগীর ক্ষেত্রেও হয়েছে। রোগীর হার্ট কম কাজ করছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে রোগীটা মারা যায়।