শরীয়তপুরের জাজিরা থানা কমপ্লেক্সের ভেতর থেকে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আল-আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (০৯ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার শয়ন কক্ষের জানালার সঙ্গে তার মরদেহটি ঝুলতে দেখতে পান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তার পরিবার জানান, ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন মো: আল-আমিন। তিনি প্রায় ৪ মাস যাবৎ ভালোভাবেই দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিহত ওসি আল-আমিনের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদি থানায়।
থানা পুলিশ জনায়, ওসি আল-আমিনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করেন থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা। পরে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে সিআইডি ফরেনসিক টিম এসে তার মরদেহের সুরতহালের কার্যক্রম শুরু করেন। তবে কি কারণে আল-আমিন আত্মহত্যা করেছেন এ বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে জাজিরা থানার প্রধান ফটক আটকে রেখেছে পুলিশ সদস্যরা। সেখানে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ওসি আল-আমিনের মৃত্যুর কারণ জানার অপেক্ষায় রয়েছে তারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাজিরা থানার ওসি আল-আমিন সর্বশেষ আজ বেলা ১১টা র দিকে পুলিশ সদস্য আজিজুল হকের মোবাইল ফোনে অফিসের কাগজপত্র স্বক্ষরের জন্য ফোন করলে তিনি জানান একটু দেরি হবে। পরে ওসি আলামিনের অফিসে আসায় একটু দেরি হওয়ায় থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: আব্দুস সালাম থানার ২য় তলার রুমে গেলে রুমের দরজা খোলা তবে ওই দরজা চাপানো অবস্থায় দেখতে পান তিনি। পরে দরজা ধাক্কা দিয়ে রুমে ঢুকলে ঘরের উত্তর পাশের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওসি আল আমিনের মরদেহ দেখতে পান পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুস সালাম। পরে ডিউটি অফিসারসহ থানার অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি জানান। পরে জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন অফিসারকে ঘটনাটি অবগত করেন।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) নজরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা ওসি আল-আমিন আত্মহত্যা করেছেন। আমরা তার মরদেহর সুরতহাল করার জন্য অপেক্ষা করছি। ঢাকা থেকে সিআইডি ফরেনসিক টিম এসে মরদেহর সুরতহাল করবে বলেও জানান তিনি।