হেডম থাকলে দেশে আসেন, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গোলাম রাব্বানীকে এক ফেসবুক পোস্টের কমেন্টে এ কথা বলেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ থেকে সরিয়ে দেওয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক একাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ওই পোস্টে হাসনাতদের বিচার করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন সাবেক ছাত্র লীগ নেতা গোলাম রাব্বানী।
হাসনাতের পোস্টের কমেন্ট বক্সে গোলাম রাব্বানী লিখেছেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাক বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, দেশের মানুষকে নিরাপত্তাহীনতায় দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।
উত্তরে হাসনাত লিছেন, গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত তার মূল পোস্টে লিখেন, ‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনের মধ্যেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার ৫ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার করা হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের এই ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা ছাত্র-জনতার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।
ফেসবুক পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, অথচ, গত ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না।
গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী হিসেব শত-শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো দেশের হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারাদেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছা