বগুড়ার সোনাতলায় বিএনপি নেতার হামলায় আহত যুবদল নেতা মো: রাশেদুল হাসান (২৭) মারা গেছেন। তিনি উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ছিলেন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শজিমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক হারুনার রশিদ।
এর আগে, গতকাল সন্ধ্যার দিকে উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার লোকজন পাকুল্লা বাজারে রাশেদুলের উপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, যুবদল নেতা রাশেদুলের মৃত্যুর খবরে বিক্ষুদ্ধ জনতা অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আবদুল হান্নানসহ ৬-৭ জনের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।
উপজেলার পাকুল্লা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে যুবদল নেতা রাশেদুলের উপর হামলা করা হয় বলে জানিয়েছেন পাকুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আলী হাসান নারুন।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে যুবদল নেতা রাশেদুল হাসান মোটরসাইকেল যোগে পাকুল্লায় ফিরছিলেন। পথে মধ্যে পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে পৌছাঁলে আব্দুল হান্নানের নেতৃত্বে তার লোকজন রুশেদুলকে ধাওয়া করে। পরে রাশেদুল মোটরসাইকেলটি সেখানে ফেলে একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এরপর তারা সেই বাড়িতে ঢুকে তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
এর একপর্যায়ে সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে রাশেদুলকে বাড়ির বাইরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে বিএনপি নেতা হান্নানের অনুসারীরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবি বলেন, যুবদল নেতা রাশেদুল হাসানের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাশেদুল মারা যান। এরপর বিক্ষুদ্ধ জনতা বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান বাটালু ও তার লোকজনের ৪-৫টি বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।