রাজধানীর বনানীতে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হৃদয় মিয়াজীকে (২৩) কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১ ও তিতাস থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে উপজেলপার মনাইরকান্দি গ্রামের মামার বাড়ি থেকে আটক করে। পরে তাকে র্যাবের হেফাজতে হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেফতারকৃত হৃদয় মিয়াজী কুমিল্লার তিতাস উপজেলার দূরলব্দী গ্রামের বাসিন্দা মাহবুব আলমের ছেলে। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবেও পরিচিত।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদ উল্যাহ জানান, “এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজীকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিতাতস থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে কুমিল্লা র্যাব-১১-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এর আগে, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ ক্যাম্পাসে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে নিয়ে হাসাহাসির জেরে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল।
তবে এদিন ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার সময় ৩০-৪০ জনের একটি দল পারভেজকে ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালালে গুরুতর আহত হয় পারভেজ। এসময় দ্রুত তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহত পারভেজের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর রাজধানীর বনানী থানায় দুই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা’সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা আরও ২৫-৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।