বৈশাখের শেষ দিকে গ্রীষ্মের তেজ যেন আরও চড়া হয়েছে। তীব্র রোদ, ধুলাবালি আর ঘামের কারণে কেবল শরীর নয়, ত্বকও হারায় উজ্জ্বলতা ও সতেজতা। বিশেষ করে তৈলাক্ত কিংবা সংবেদনশীল ত্বকে দেখা দেয় ব্রণ, র্যাশ বা ফুসকুড়ির মতো সমস্যা। তবে একটু সচেতনতা আর ঘরোয়া যত্নেই গরমের সময়টায় ত্বককে রাখা সম্ভব তরতাজা।
এই সময়ে আবহাওয়ার তারতম্য এবং অতিরিক্ত ঘাম ত্বকের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। গরমে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়, তেলচিটে ভাব বাড়ে, সেইসঙ্গে বাড়ে ব্রণের প্রকোপও। তাই বাইরে যাওয়া হোক বা না হোক, ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি।
তেমন কিছু নয়, হাতের কাছেই থাকা উপাদান দিয়েই নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুললে সহজেই ত্বককে রাখা যাবে সুস্থ ও উজ্জ্বল।
জেনে নিন কীভাবে
ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা হলে আমের পাল্পের সঙ্গে সামান্য মধু মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ২০–৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বককে করবে মসৃণ ও কোমল।
রাতে ঘুমানোর আগে হালকা ফেস সিরাম ব্যবহার করুন। আপনার ত্বকের ধরন বুঝে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে একটি উপযোগী সিরাম বেছে নিন। এর পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন, বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে মুখ ধোয়ার পর।
রোদে বের হওয়ার আগে অবশ্যই ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এতে ত্বক সূর্যের ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি থেকে সুরক্ষিত থাকবে, কমবে ট্যান ও কালো দাগের সম্ভাবনা।
বাইরে থেকে ফিরে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে গোলাপ জল বা হালকা কোনো টোনার ব্যবহার করুন। এটি ত্বককে ঠাণ্ডা রাখবে ও সতেজতা বাড়াবে।
দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এর সঙ্গে তাজা ফলের রস, ডাবের পানি, আখের রস বা লেবুর শরবত পান করলে শরীর যেমন হাইড্রেটেড থাকবে, তেমনি ত্বকও থাকবে প্রাণবন্ত।
ত্বক ভালো রাখতে ভেতর থেকে সুস্থ থাকাও জরুরি। তাই সবুজ শাক-সবজি খান, জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন। প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম ত্বকে রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখে, ফলে ত্বক হয়ে ওঠে আরও উজ্জ্বল।