আবাসন বৃত্তি, পূর্ণাঙ্গ বাজেট ও দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবিতে যমুনা অভিমুখে ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে। এতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বুধবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ লংমার্চে বাধা দেয়। এসময় ধাক্কাধাক্কির একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

আহতদের মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রয়েছেন। তাঁদের কয়েকজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লংমার্চে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।
এর আগে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘একাত্তরের গণহত্যা ভাস্কর্য’ থেকে লংমার্চ শুরু হয়। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্রশিবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
লংমার্চের আয়োজক সংগঠন ‘জুলাই ঐক্য’ মঙ্গলবার আন্দোলনের এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
তাদের তিনটি মূল দাবি হলো
১. আবাসন সুবিধা না পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি চালু করা।
২. ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন করা।
৩. দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে পরবর্তী একনেক সভায় প্রকল্প অনুমোদন এবং তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা।
আন্দোলনকারীরা জানান, গতকাল একটি প্রতিনিধি দল ইউজিসিতে গিয়ে দাবি তুলে ধরলেও আশানুরূপ কোনো প্রতিশ্রুতি না পাওয়ায় তাঁরা আজকের লংমার্চ কর্মসূচি পালন করেন।
পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা মিছিল ছেড়ে মৎস্য ভবন মোড়ের দিকে সরে যান। সেখানেই তাঁরা পুনরায় অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, “শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি জানাতে যাচ্ছিলাম। পুলিশ বিনা উসকানিতে হামলা করেছে। আমাদের ওপর জলকামান, লাঠিচার্জ আর গ্যাস প্রয়োগ করা হয়েছে। এটা সরকারপ্রধানের বাসভবন নয়, মিডিয়া অফিস। আমাদের চুপ করানো যাবে না।”