বগুড়ার সারিয়াকান্দি পৌর এলাকার বাঙালি নদীর তীরে গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণের ফলে তীর সংরক্ষণ কাজের আরসিসি ব্লক ধসে বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নদীর কোল ঘেঁষে থাকা বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একই সময়ে সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামে সড়কের একাংশ ধসে যাওয়ায় এলাকাবাসী জনদুর্ভোগে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাঙালি নদীর ভাঙন রোধে তীর সংরক্ষণকাজ সম্পন্ন হলেও বাঙালি সেতুর উত্তরে হিন্দুকান্দি গ্রামের শিল্পপাড়া এলাকায় বৃষ্টির পানির প্রবাহে ধস নামায় প্রায় ১০ মিটার দৈর্ঘ্যের আরসিসি ব্লক ভেঙে যায়। সেখানে গর্তের আকার এতটাই বড়, যে পাশের দুইটি আধাপাকা বাড়ির মেঝেতে ফাটল ধরেছে। স্থানীয়রা বলছেন, দ্রুত মেরামত না হলে এসব বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
ধসের কারণে এ পাড়ার একমাত্র সড়কেরও একাংশ ভেঙে যাওয়ায় পৌর এলাকার হিন্দুকান্দি গ্রামের প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সদর ইউনিয়নের পারতিত পরল গ্রামের হাজিপাড়া এলাকায় ড্রেনের নিচের মাটি সরায় সড়ক ধসে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েকটি পাকা বাড়ি ভাঙনের শঙ্কায় পড়েছে। বাসিন্দারা বলছেন, মেরামত না হলে প্রধান সড়কটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যা স্থানীয় মানুষের চলাচলে বড় সমস্যা সৃষ্টি করবে।
হিন্দুকান্দি গ্রামের সাব্বির আহম্মেদ চম্পক বলেন, “বৃষ্টির জেরে নদীতীর সংরক্ষণ ব্লক ধসে গিয়ে ফাটল ধরেছে বাড়ির মেঝেতে। দ্রুত সংস্কার না হলে বাড়িগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।”
পারতিত পরল গ্রামের শাহেদ পারভেজ মিথুন বলেন, “ড্রেনের অপরিকল্পিত নির্মাণের কারণে মাটি সরে সড়ক ভেঙেছে। যত দ্রুত সম্ভব মেরামত না হলে চলাচলে বড় ঝামেলা হবে।”
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার রহমান বলেন, “বাঙালি নদীর ধসে যাওয়া তীর সংরক্ষণ কাজের মেরামত দ্রুত করতে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়কের ক্ষতিও দ্রুত সংস্কার করতে প্রকৌশল দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হবে।”