জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট কারচুপি বা জালভোটের প্রমাণ হলে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হয়েছে, কেউ যদি কারচুপি বা জালভোট প্রমাণ করতে পারে, এমনকি তাঁর পেনশনের টাকাও নেবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামান জানান, যারা নির্বাচন বর্জন করেছেন তা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত; নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কিছু করতে পারে না। ‘কারো ইচ্ছে হলে বর্জন করবেন, আবার কারো ইচ্ছে হলে গ্রহণ করবেন এ এক গণতান্ত্রিক অধিকার’।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার একই সঙ্গে জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারের পদত্যাগ সংক্রান্ত বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের অফিসে কোন দাপ্তরিক পদত্যাগপত্র আসে নি; তাই আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
কমিশন ভোট গণনার সময় ‘লাভ-লোকসান’ বা ফলাফল-উন্নতির হিসাব দেখে কাজ করছে না বলেও সিইসি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাকসুর নিজস্ব বিধি রয়েছে; কমিশন কেবল সেই বিধি অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছে।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৮৯৭ জন, এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ৬ হাজার ১১৫ ও ছাত্রী ভোটার ৫ হাজার ৭৮২। প্রায় ৬৭–৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭টি হলের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। বাকি আছে ৪টি । বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ভোট গণনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।