বগুড়ার শেরপুরে চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক যুবদল নেতা মোঃ আরমান আলীকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে শেরপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আরমান শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের দহপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মোঃ সালামের ছেলে। তিনি শেরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে শেরুয়া দহপাড়া এলাকায় সংঘটিত হামলা ও চাঁদাবাজির ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ জালু বাদী হয়ে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা গুরুতর আহত হয় এবং নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আরমানসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শেরপুর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম বলেন, “আরমান আলীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে এই মামলার অন্যতম আসামি মোঃ লালনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আরমান আলীকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
জেলা যুবদল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোনো অপকর্মের দায়ভার সংগঠন বহন করবে না। একইসঙ্গে সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়