নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, নির্বাচন কমিশন সারাদেশে এ বিষয়ে প্রস্তুত। শনিবার (০১ নভেম্বর) সকালে কুয়াকাটায় আয়োজিত এক দিনব্যাপী কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কর্মশালার শিরোনাম ছিল: ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’। আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও কোস্ট গার্ডসহ কোনো বাহিনীর পক্ষ থেকে সমস্যা দেখা দেবে বলে তিনি মনে করেন না, সব বিভাগই নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী ভূমিকা রাখবে।
নির্বাচন কমিশনার উল্লেখ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হলেও এ বিষয়ে তেমন কোনো উদ্বেগ নেই। “সরকার এবং নির্বাচন কমিশন যেভাবে সিদ্ধান্ত নিবে, সেভাবে নির্বাচন হবে,” তিনি যোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, “এই দেশটি আমাদের, এই দেশে বড় হয়েছি। এই দেশের ভালো-মন্দ আমার আপনার ওপর নির্ভরশীল।” তিনি প্রত্যাশা প্রকাশ করেন যে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নেতৃত্বে যদি সুশৃঙ্খল ও দায়িত্বশীলভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করা যায়, তবে প্রত্যেক জেলায় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠিত হতে বাধা থাকবে না।
কর্মশালায় বরিশাল অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপপ্রধান মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান। অনুষ্ঠানে নির্বাচন প্রক্রিয়া ও ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা-সুবিধা নিশ্চিতকরণ, বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা মোকাবিলা ও ভোট-কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়।


