ট্রেনে আগুন: শিশু সন্তানকে নিজের কোলেই জড়িয়ে মারা যান মা। নেত্রকোনা সদর থেকে থেকে ঢাকায় ফেরার সময় একই পরিবারের সদস্য ও স্বজনসহ ৯ জন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে ওঠেন তারা। বিমানবন্দর স্টেশনে নেমে যান তাদের পরিবারের পাঁচ সদস্য।
এরপর ট্রেন চলতে শুরু করলে হঠাৎ ধোঁয়ায় ভরে যায় ট্রেনের বগী। ‘আগুন আগুন’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু হয়। তেজগাঁও স্টেশনে ট্রেন থামতেই সবাই হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। শুধু চার হতভাগ্য নামতে পারেননি। তাদের মধ্যে ছিলেন মোছা: নাদিরা আক্তার পপি ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াসিন। ট্রেনে আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাদের। আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনাটি ঘটে।
পপির দেবর প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান জানান, ভাবির কোলে ছিল তিন বছরের ছোট্ট ইয়াসিন। বাচ্চা নিয়ে উনি আর নামতে পারেননি। আগুন নেভানোর পর ওনার লাশ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তখনও ভাবির কোলেই ছিল সন্তানের মৃতদেহ। দুজন একসঙ্গে পুড়ে মারা যান।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর পর ৪ জনের লাশ উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে দুই জন পপি ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন।
মিনহাজুর রহমান আরও জানান, লাশ দেখে বোঝা যায়, শেষমুহূর্ত পর্যন্ত ভাবী তার সন্তানকে বুকে আগলে রেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন । তবে অনেক লোকের হুড়োহুড়ির মধ্যে পারেননি। সন্তানকে বুকে নিয়ে পুড়ে মারা যান।