ভোলার লালমোহনে ইউপি সচিবের বাসভবন থেকে পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কর্তারহাট এলাকা থেকে লামিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা ধরনের গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত মোছা: লামিয়া লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সৌদি প্রবাসী মো: জসিম হাওলাদারের মেয়ে।
জানা গেছে, নিহত লামিয়ার কোনো ভাই নেই। ৪ বোনের মধ্যে দেখতে ফুটফুটে লামিয়া সবচেয়ে ছোট। তার বাবা সৌদি আরব থাকে। ৮ম শ্রেণির ছাত্রী থাকা অবস্থায় প্রায় ১ বছর আগে লামিয়াকে বাল্যবিয়ে করে মো: শরীফ। লামিয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর বিষয়টি বিভিন্ন রকমের প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
নিহতের শ্বশুর মো: ছিদ্দিক মিয়া বলেন, ঘটনার দিন বিকালে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যাই। এ সময় আমার বাসায় কেউ ছিল না। সেদিন সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে দেখি ২য় তলার নিজ রুমে ফ্যানের সাথে ঝুলছে লমিয়া। পরে তার মরদেহ নামিয়ে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে কী কারণে লামিয়া এমনটা করলো সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছি না।
লামিয়ার বড় বোন তানিয়া জানান, প্রায় ১ বছর হলো ছিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো: শরিফ লামিয়াকে বিয়ে করেন। এটি শরীফের ২য় বিয়ে ছিলো। শ্বশুর ছিদ্দিক বিয়ের পর থেকেই লামিয়ার প্রতি কুনজর দেন। বিষয়টি লামিয়া তার মা ও বোনকে জানায়। সম্ভবত শ্বশুরের এমন অনৈতিক আচারণের কারণে লামিয়ার এ রকম পরিণতি ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে লামিয়ার স্বামী শরিফকে পাওয়া যায়নি তবে শ্বশুর ছিদ্দিক মিয়া বলেন, এ ধরনের সন্দেহ ও অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শহীদ বলেন, পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার আসল কারণ উদঘাটনের দাবি করছে লামিয়ার পরিবার। আমরাও চাই সঠিক তদন্ত করে এর একটা বিচার হোক।
ভোলার লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মাহাবুবুল আলম বলেন, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহতের শ্বশুর ছিদ্দিক মিয়া লালমোহন উপজেলার ১নং বদরপুর ইউনিয়নের সচিব। ছিদ্দিক মিয়ার বাড়ি লালমোহনের কর্তারহাট এলাকায়। ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।