টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে মাটিভর্তি একটি ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশার আরও ৫ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ মার্চ) রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন, মির্জাপুর উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়নের চান্দুলিয়া গ্রামের মো: শফিউদ্দিনের ছেলে অটোচালক মো: তোফাজ্জল হোসেন (৩৫) এবং গোড়াই ইউনিয়নের দেওহাটা বাকালী পাড়ার রতন বাকালীর পুত্র সুশান্ত বাকালী (৩৩)। নিহত সুশান্ত বাকালী গোড়াই কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড কারখানায় প্রিন্টিং শাখায় কাজ করতেন। আহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর। আহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ৩ জনকে জেলার কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অহতরা হলেন, একই পরিবারের দিঘলিয়া গ্রামের মো: শওকত হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী লাকি বেগম (৩৫), ৯ বছরের শিশু মরিয়ম আক্তার ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার মো: আমিনুল ইসলাম (৩২)। এছাড়া আহত ১ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত শিশু মরিয়ম ছাড়া সকলেই গোড়াই এলাকার কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড কারখানায় কাজ করতেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ৯টার দিকে কারখানায় কাজ শেষে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের সার্ভিস লাইন দিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় গোড়াই নাজিরপাড়া নামক এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা মাটিভর্তি ১টি ডাম্পট্রাক অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোচালক তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সুশান্ত বাকালী মারা যান। আহত ৫ জনকে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আহত মো: শওকত হোসেন, তার স্ত্রী লাকি বেগম (৩৫) এবং ৯ বছরের শিশুকন্যা মরিয়ম আক্তারের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ দুর্ঘটনার বিষয়ে গোড়াই হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ ২ জন মারা গেছেন। আহত ৫ জনের মধ্যে ৩ জনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে এবং ২ জন কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ডাম্পট্রাকটি জব্দ করতে ও ট্রাকটির চালককে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।