ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোর থেকে শহরতলীর কয়েকটি স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সংঘর্ষ-সহ উত্তেজনার মধ্যে বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীরা তিনজনকে গণধোলাই করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
ভোর থেকে আলগী ইউনিয়নের শুয়োদী বাসস্ট্যান্ড, মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড এবং ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের পুকুরিয়া ও পুলিয়া এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে এবং গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান, ভোর ছ’টা থেকে ধীরে ধীরে শত শত নেতাকর্মী সড়কে অবস্থান নেন। শুরুতে এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টাখানেক অবরোধের পর তা আরও চারটি পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে। অবরোধকারীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি ছিল বলেও জানা গেছে।
ভাঙ্গা থানার ওসি আশরাফ হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগের এক থেকে দেড় হাজার নেতাকর্মী সড়ক অবরোধ করেছে। আমরা, র্যাব ও সেনা সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাজ করছি। নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। অবরোধের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সকালে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মহাসড়কে অবস্থান নেয়। সকাল ১০টার দিকে মুনসুরাবাদ ও ১১টার দিকে শুয়াদী এলাকায় অবরোধকারীদের অনুরোধে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জমুখী এলাকায় তখনও উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
বেলা ১১টার দিকে বিএনপি ও এনসিপির নেতাকর্মীরা শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে মাঠে নেমে নুরপুর বটতলা এলাকা থেকে নগরকান্দার চরদোষরদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পথিক তালুকদার, নিহত হোসেন ও অজ্ঞাত একজনকে গণধোলাই করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। পরে তিনজনকেই আটক করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশের তৎপরতা বাড়ে। বর্তমানে পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে পরিস্থিতি শান্ত রাখার চেষ্টা করছে এবং পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।


