নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আনিকা আক্তার আনিকা (১৯) নামে এক বাউল শিল্পীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী হাবিবুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) গভীর রাতে ফতুল্লার ভুইগড় এলাকার ভাড়া বাসা থেকে আনিকার মরদেহ স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁর স্বামী হাবিবুর রহমান।
খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ হাবিবুরকে আটক করে এবং আনিকার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত আনিকা মাদারীপুর জেলার মোস্তফাকুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। হাবিবুর ও আনিকা ভুইগড়ের মাস্টারের বাড়ির এক ভাড়া ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন।
পরিবার অভিযোগ, পারিবারিক কলহ ও স্বামীর দ্বন্দ্ব-এর জের ধরে হাবিবুর পরিকল্পিতভাবে আনিকাকে হত্যা করেছেন।
আনিকার স্বামী হাবিবুর রহমান পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি আনিকাকে হত্যা করেননি। তিনি বলেছেন, “গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর থেকে এসে ভুইগড়ে ফ্ল্যাটে গিয়ে দরজা ভেঙে প্রবেশ করলে দেখেন আনিকা জানালার গ্রিলে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন, এরপর তিনি তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তালাকের নোটিশ ভুয়া ছিল এবং আনিকাকে ভয় দেখানোর জন্য পাঠিয়েছিলাম।”
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাবিবুরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।