ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিরা ভারতে পালিয়ে গেছেন কি না, এমন কোনো তথ্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ডিএমপি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, হামলাটি ‘টার্গেট কিলিং’ ছিল, এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সক্রিয় রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, ওসমান হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি শনাক্ত করা হয়। মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেটের সূত্র ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করে পুলিশ। পরে মধ্যরাতে পল্টন থানা পুলিশ তাকে আটক করে।
ডিএমপি জানিয়েছে, হামলার ঘটনায় গুলিবর্ষণে জড়িত দুই ব্যক্তি এখনো পলাতক রয়েছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেছেন কি না, এ বিষয়ে পুলিশের কাছে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য নেই।
এদিকে, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে দাবি করেছেন, অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান এবং তার সহযোগী মোটরসাইকেলচালক আলমগীর হোসেন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছেন। পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, তারা বর্তমানে ভারতের আসাম রাজ্যের গুয়াহাটি শহরে অবস্থান করছেন।
ওই পোস্টে আরও দাবি করা হয়, ভারতে অবস্থানকালে তাদের সহায়তা করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. মাসুদুর রহমান বিপ্লব।
এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।


