বগুড়ার শেরপুর পৌরসভা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ সালমা খাতুনের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অসদাচরণ ও আর্থিক দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও দপ্তরী-নৈশ্য প্রহরীরা যৌথভাবে এই অভিযোগ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১০ নভেম্বর) বগুড়া জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আসাদুজ্জামান এবং শেরপুর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বিদ্যালয়ে এসে তদন্ত শুরু করেছেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান শিক্ষিকা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেন এবং প্রায়শই অনুপস্থিত থাকেন। সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব না দিয়ে জুনিয়র শিক্ষককে মৌখিকভাবে জানানোর ঘটনাও ঘটেছে।
এছাড়া, তিনি শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ না করা, দশটি ল্যাপটপ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা, ওয়াই-ফাই পাসওয়ার্ড গোপন রাখা, বিভিন্ন দিবসের বরাদ্দকৃত টাকা ও সততা স্টোরের অর্থ আত্মসাৎ এবং সরকারি বই বিক্রির উদ্বৃত্ত অর্থ ফেরত না দেওয়ার মতো গুরুতর আর্থিক অনিয়ম করেছেন।
এ ছাড়াও, বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত মোট ২৫ হাজার টাকার অনুদানের কোনো হদিস নেই বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষক-দপ্তরী ও নৈশ্য প্রহরীরা জানান, প্রধান শিক্ষিকার অসদাচরণ ও দুর্নীতির কারণে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ সালমা খাতুন জানান, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত এবং মিথ্যা ।
তদন্ত প্রসঙ্গে বগুড়া জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম আসাদুজ্জামান জানান, “আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেব। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”


