রংপুরের পীরগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে নিয়ে চলমান বিরোধ উত্তপ্ত হয়ে উঠে। রোববার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন আহত হন।
ওই সময় ভিডিও করার কারণে এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত এবং তার মোবাইল ও আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
জানা যায়, পৌর ছাত্রদল নেতা জীবন হামিদ ও কর্মী শ্রাবণ-শুভদের সমর্থক গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে মেয়েবন্ধু সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। রোববার সন্ধ্যায় পূর্ব চৌরাস্তায় দফায় দফায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসময় পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে এবং সেখানে থাকা লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে গুরুতর আহত রমজান ও তুহিনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া জসিম (২৫), তারিব (১৭), আরাবী (১৭) ও ফাহিম (২০) পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
পীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি বাদল হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, তিনি মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিলেন, তখন যুবদলের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরার পাশাপাশি মোবাইল ও গলায় থাকা আইডি কার্ড কেড়ে নেয় এবং অকথ্য ভাষায় লাঞ্ছিত করে। পরে মোবাইল ফোন ও আইডি কার্ড ফিরে পাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিকরা তীব্র ক্ষোভ জানান এবং দ্রুত জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পীরগঞ্জ থানার উপ-পরিদশর্ক (এসআই) আব্দুল হালিম বলেন, “এক কলেজছাত্রীকে দুজন ভালোবাসতো। সে ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।