বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে দেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, তারেক রহমানের এই ফেরা বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও সুসংহত করবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন। তিনি লেখেন, দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরেছেন। একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকার পুনরুদ্ধার হওয়া আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়েরই একটি ইতিবাচক প্রতিফলন।
স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তারেক রহমান ও তার পরিবার দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তাকে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হয়েছে। হাজারো শহীদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের ফলেই এমন একটি বাস্তবতা তৈরি হয়েছে, যেখানে তিনি ও তার পরিবার দেশে ফিরে আসতে পেরেছেন।
নাহিদ ইসলাম আরও লেখেন, এনসিপি একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চায়—যেখানে ভিন্নমতের কারণে কোনো রাজনৈতিক নেতাকে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মুখে পড়তে হবে না। বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিবেশ ভেঙে যে মুক্ত বাংলাদেশের পথে দেশ এগোচ্ছে, সেখানে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান ও সুস্থ প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন এই প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নেবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি। দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে তার অংশগ্রহণ ফলপ্রসূ হোক—এই প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর পর তিনি পূর্বাচলের ৩৬ জুলাই এক্সপ্রেসওয়েতে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। পরে সন্ধ্যার দিকে বসুন্ধরায় অবস্থিত এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান।


