দেশের ৯ মাস থেকে ১৫ বছর ১১ মাস ২৯ দিন বয়সী প্রায় ৫ কোটি শিশুকে টাইফয়েডের টিকা দেওয়া হবে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) এর আওতায় পরিচালিত এই কার্যক্রমে প্রথম ১০ দিন স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া হবে।
টিকা নিতে অবশ্যই অনলাইনে আগে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন সম্পন্ন হলে সেটি প্রিন্ট করে টিকা কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে হবে, যা টিকা দেওয়ার সময় সঙ্গে নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদাভাবে নির্দেশনাও দিয়েছে।
নিবন্ধন করবেন যেভাবে
টাইফয়েডের টিকা নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করতে হবে (https://vaxepi.gov.bd/registration/tcv) ওয়েবসাইটে।
১. জন্ম তারিখ (দিন/মাস/বছর) দিতে হবে।
২. ১৭ সংখ্যার জন্ম নিবন্ধন সনদের নম্বর দিতে হবে (সব তথ্য ইংরেজিতে লিখতে হবে)।
৩. জন্ম নিবন্ধন না থাকলে মা-বাবার মোবাইল নম্বর দিয়ে নিবন্ধনের সুযোগ বলা হলেও বর্তমানে ওয়েবসাইটে জন্ম নিবন্ধন আবশ্যক দেখাচ্ছে।
৪. লিঙ্গ নির্বাচন করে ক্যাপচা কোড পূরণ করতে হবে।
৫. এরপর মা-বাবার মোবাইল নম্বর, ই-মেইল, পাসপোর্ট নম্বর, বর্তমান ঠিকানা লিখে ‘সাবমিট’ করতে হবে।
৬. মোবাইলে প্রাপ্ত ওটিপি দিয়ে প্রথম ধাপ সম্পন্ন হবে।
এরপর টাইফয়েড অথবা মেনিনজাইটিস টিকা থেকে একটি নির্বাচন করতে হবে। টাইফয়েড বেছে নিলে দুটি অপশন আসবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত নবম শ্রেণি বা সমমান পর্যন্ত শিক্ষার্থী ওশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবহির্ভূত ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্কুলের নাম, ঠিকানা, শ্রেণি, থানা, ওয়ার্ড নম্বর ও জোন লিখে ‘সাবমিট’ করলে টিকাদান কেন্দ্রের তথ্য পাওয়া যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানবহির্ভূতদের ক্ষেত্রে নিকটস্থ কেন্দ্র নির্বাচন করতে হবে।
‘সাবমিট’ করার পর ভ্যাকসিন কার্ড ডাউনলোড করে প্রিন্ট নিতে হবে। নির্ধারিত দিনে সেই কার্ড নিয়ে টিকা নিতে হবে। টিকা দেওয়ার পর অনলাইনে পাওয়া যাবে টাইফয়েড ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট, যা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ডাউনলোড করে রাখতে পারবেন।