ভারতের নয়ডার বেটা-১ সেক্টরের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে এক বাংলাদেশি ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রবিবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছাত্রের নাম শাহরিয়ার, বয়স ২২, তিনি নয়ডা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (NIU) পড়াশোনা করতেন। খবর পেয়ে স্থানীয় বেটা-২ পুলিশ থানার একটি দল ঘটনাস্থলে যায় এবং লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
বাড়ির মালিক জানান, রবিবার সন্ধ্যায় জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর দেখলে তিনি শাহরিয়াকে সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানিয়েছে, ঘরটি ভিতর থেকে তালাবদ্ধ ছিল, বাড়িওয়ালার উপস্থিতিতে পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে লাশ উদ্ধার করে।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্টেশন হাউস অফিসার বিনোদ কুমার বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে—উদাহরণ হিসেবে তারা বলেছে, শাহরিয়ারের সম্ভবত মানসিক অবস্থা, তাঁর ফোন কেন বন্ধ ছিল, বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো সমস্যা ছিল কিনা, এসব বিষয়ে তদন্ত চলছে।
তদন্তকারীর প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শাহরিয়ারের পরিচয়জগত ও সম্পর্ক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানানো হয়েছে, বিহারের মধুবনীর বাসিন্দা রূপা নামের এক নারীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র জানিয়েছে, গত ১৬ নভেম্বর রূপাকে সঙ্গে নিয়ে শাহরিয়ার নয়ডায় এসে ওই ভাড়া বাড়িটি দেখেন; তারা বাড়িওয়ালার কাছে নিজেদের নববিবাহিত দম্পতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন এবং প্রতি মাসে ৮,০০০ রুপি ভাড়া চুক্তি করেন। ১৭ নভেম্বর তারা দুজনে ঘরে উঠেন।
বাড়িওয়ালা জানান, রূপা ২১ নভেম্বর ঘর থেকে বের হন এবং এরপর আর ফিরে পাননি; সেদিন থেকেই শাহরিয়ারের ফোনও বন্ধ ছিল, এ কাজে সন্দেহ দেখা দেয়। পুলিশ সোমবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত রূপা নামের ওই নারীর সন্ধান পায়নি, তার ফোনও বন্ধ আছে। পুলিশের তদন্তে রূপার অবস্থান ও ঘটনার সাথে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা দেখা হচ্ছে।


