ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী এবার এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন, বিহারের ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ ঘোষিত সাতজন মানুষের সঙ্গে চা পান ও আলাচনা করেছেন।
কংগ্রেসের দাবি, বিহারে অনেক ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে তারা মারা গেছেন, অথচ তারা জীবিত। রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে আসা এই সাতজনও মৃত ভোটার তালিকায় থাকা নাম। তাদের মধ্যে চারজন নারী ও তিনজন পুরুষ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের ভেরিফাইড একাউন্টে (সাবেক টুইটার) একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন রাহুল গান্ধী।
সেখা তিনি লিখেছেন, জীবনে অনেক রকমের মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। কিন্তু ‘মৃত মানুষের’ সঙ্গে বসে চা খাওয়ার সুযোগ কখনো হয়নি। এই অনন্য অভিজ্ঞতার জন্য ধন্যবাদ নির্বাচন কমিশন!
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রাহুল অতিথিদের অভ্যর্থনা জানিয়ে নিজের অফিসকক্ষে নিয়ে যান। একটি টেবিলে বসে সবাই আড্ডা দেন, চা পান করেন। আলোচনার শুরুতেই রাহুল মজা করে বলেন, “শুনেছি, আপনারা তো আর বেঁচে নেই।” উত্তরে একজন বলেন, “আমাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।”
তাদের মধ্যে একজন জানান, ভোটার তালিকা হাতে পেয়েই দেখেন নিজের নাম নেই। পরে পরীক্ষা করে বুঝতে পারেন তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ভিডিওতে রাম ইকবাল রায়ের ভোটার কার্ডও দেখানো হয়, যেখানে ১৯৫৯ সালে জন্ম এবং বাবার নাম লেখা আছে লক্ষ্মী রায়।
রাহুল জানতে চান, এরকম ঘটনা আর কতজনের সঙ্গে হয়েছে বলে তারা মনে করেন। জবাবে একজন বলেন, “একটা পঞ্চায়েতেই অন্তত ৫০ জনের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে।” আরও জানা যায়, তারা সবাই একই বুথের ভোটার নন, তিন-চারটি ভিন্ন বুথের তালিকায়ও একই ঘটনা ঘটেছে।
একজন নারী ভোটার অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মীরা তার কাছ থেকে আধার কার্ড, ব্যাংক পাসবইয়ের ফটোকপি ও ছবি নিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দেখেন, তাকে মৃত ঘোষণা করে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গত ৭ আগস্ট রাহুল গান্ধী সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ তোলেন। কমিশন তার কাছে অভিযোগের প্রমাণ চেয়েছে এবং প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিহার রাজ্যের নির্বাচন কমিশন।