বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারাদেশের সকল কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রিফাত রশিদ।
তিনি বলেন, “অর্গানোগ্রামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া দেশের সকল শাখার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। কিছু পরাজিত অপশক্তি আমাদের ব্যানার ব্যবহার করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি আরও বলেন, “যারা এই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের গুলশানের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া রিয়াদ ও তিন সহযোগীর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। রিয়াদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ছিলেন।
গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।।
রিমান্ড চাওয়া অন্য আসামিরা হলেন,সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন।
এ ঘটনায় রোববার গুলশান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সিদ্দিক আবু জাফর। অভিযোগে ছয়জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে একজন ১৩ বছরের শিশু, আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত কিশোর মো. আমিনুল ইসলাম।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৭ জুলাই সকাল ১০টার দিকে রিয়াদ ও কাজী গৌরব অপু গুলশানের ৮৩ নম্বর রোডে সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় যান। সেখানে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আওয়ামী লীগের ‘দোসর’ আখ্যা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর বাধ্য হয়ে নগদ পাঁচ লাখ টাকা এবং ভাইয়ের কাছ থেকে আরও পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে দেন।
এরপর ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিয়াদ ও অপু আবার বাদীর বাসায় গিয়ে জোরে জোরে দরজায় ধাক্কা মারেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা সরে যায়।
এজাহারে আরও বা হয়, গত ২৬ জুলাই বিকেলে ছাত্রনেতা রিয়াদের নেতৃত্বে কয়েকজন শাম্মী আহমেদের বাসার সামনে গিয়ে দাবি করা বাকি ৪০ লাখ টাকা না দিলে জাফরকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে। ওই সময় অভিযুক্ত গৌরব অপু পালিয়ে যায়।
দেশের অবস্থা খুব ভয়াবহ চলতেছে এগুলো ঠিক হচ্ছে না