শেখ হাসিনা যদি গণভবনে মারা যেতেন, আওয়ামী লীগ বেঁচে যেত বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সাধারণ সম্পাদক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনা অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন তিনি।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, অনেক ল্যাসপেন্সার গোষ্ঠী মনে করে আওয়ামী লীগ আবারও ফিরবে। ১৯৭৫ সালের আগস্ট আর ২০২৪ সালের আগস্ট এক নয়। ৭৫ সালে শেখ মুজিব নিজ বাড়িতেই খুন এবং কেউ পালিয়ে যাননি।
তিনি আরও বলেন, ২৪ সালের আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। যদি তিনি নিজের বাড়িতে মারা যেতেন, তাহলে রাজনৈতিকভাবে যে একটি সহানুভূতি তৈরি হতো, তা বাংলাদেশে প্রমাণিত। এটা হতো সহানুভূতি ভিত্তিক রাজনীতি, শোকের রাজনীতি বা মন্দিরভিত্তিক রাজনীতি। যেমন ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবকে নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মঞ্চে শোকের রাজনীতি গড়ে উঠেছিল।
অভিযোগ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ফুয়াদ বলেন, শেখ হাসিনাকে দিয়ে সেই শোকের রাজনীতি আর তৈরি করা যাবে না। পালাতক সেনাপ্রধানকে দিয়ে পৃথিবীতে কোনো রাজ্য বিজয় হয় না।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত রাজনীতি টিকে থাকবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। একজন পলাতক স্বৈরাচার কখনো ক্ষমতায় ফিরতে পারে না, এরকম কোনো ইতিহাস নেই। যদি হাসিনা সিদ্ধান্ত নিতেন যে, আমি গণভবনেই মারা যাব, তা হলে হয়তো তার দল রাজনৈতিকভাবে বেঁচে যেত।”
তিনি আরও বলেন, “যে দলের নেত্রী পুরো রাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে যায়, তার রাজনৈতিক আত্মহত্যা হয়ে গেছে। তিনি আর কখনো দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। শেখ হাসিনার কোনো রাজনৈতিক লিনিয়াস নেই, এবং তার ছেলে-মেয়ের কর্মকাণ্ডও প্রশ্নবিদ্ধ।”
এবি পার্টির সিনিয়র এই নেতা বলেন, “তারা কেউ বাংলাদেশকে ওউন করে না। তাদের জন্য দেশটা গাই-গরু, এখান থেকে অর্থ নিয়ে বিদেশে মাস্তি করবে। এসব পরিস্থিতি বিবেচনা করলে বলা যায়, আওয়ামী লীগের রাজনীতিার ‘ডেথ পলিটিকস হয়ে গেছে।