বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের দুই গণহত্যাকারীর মধ্যে কোথাও না কোথাও মিল তৈরির চেষ্টার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।।
দুদু বলেন, ‘‘একটা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি আমরা অতিক্রম করছি। ৭১-এর সময় যারা বাংলাদেশ চায়নি এবং গণহত্যা চালিয়েছিল, এছাড়াও ২৪-এ আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল, এই দুই গণহত্যাকারী কোথায় যেন একটু মিল হওয়ার চেষ্টা করছে। বাতাসে ছড়াচ্ছে যে, নানাভাবে তারা এক হচ্ছে। এক হওয়া মানে গণহত্যাকারীরা হলো অশুভ শক্তি। এই অশুভ শক্তির একজন প্রকাশ্যে আছে, আরেকজন অপ্রকাশ্যে আছে।’’ তিনি ভবিষ্যৎ নির্বাচন নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, কিছু গোষ্ঠী এখন নতুন নতুন বয়ান সামনে নিয়ে আসছে যাতে নির্বাচন থামানো যায়। ‘‘কি ভাবে নির্বাচন ঠেকানো যায়, সেজন্য তারা নতুন নতুন বয়ান সামনে নিয়ে আসছে। যে বয়ানের মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু, স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকে ঠেকানো ও বাধাগ্রস্ত করা যায়, সেদিকে তারা হাঁটছে,’’
তিনি গুরুত্ব দেন যে, যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয়, তাতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হবে এবং আধিপত্যবাদী শক্তির উত্থান হবে।
নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই, দীর্ঘ সংগ্রাম ও শহীদের কথা স্মরণ করে দুদু বলেন, ‘‘দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই হয়েছে, নেতাকর্মীরা রাস্তায় শহীদ হয়েছে। ছাত্ররা শহীদ হয়েছে। স্বৈরতন্ত্রের বিদায় হলে গণতন্ত্রের আগমন ঘটে। আর গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য নির্বাচন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’’
তিনি আগামী নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন এবং প্রত্যাশা করেন, ওই নির্বাচনের মধ্যেই সবকিছু ফয়সালা হয়ে যাবে।


