ফরিদপুরে ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে মো: হারুন রশিদ ওরফে মাসুদ রানা (৪০) নামের একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, আনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতেই উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত হারুন রশিদ ওরফে মাসুদ রানা সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার খামারবড়ধুল এলাকার আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ছেলে।
মামলা এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে মাসুদ রানার সঙ্গে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার গোপালপুর এলাকার তারা ফকিরের মেয়ে তানিয়া সুলতানার সঙ্গে দ্বিতীয় বিবাহ হয়।
এর সূত্র ধরে ২০২০ সালে জানুয়ারি মাসে তানিয়ার নিজ ঘরে বসতকালে তানিয়ার বড় মেয়ে ৭ম শ্রেণির স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীকে তার নিজ ঘরে ধর্ষণ করেন। ওই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখেন হারুন রশিদ ওরফে মাসুদ রানা। পরে ভিডিওটি নেটে ছড়িয়ে দেওয়া এবং হত্যার করার হুমকি দিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
পরবর্তীতে ওই মেয়েকে ২০২০ সালের (২৯ জানুয়ারি) স্কুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে তাকে তাকে ঢাকার একটি বাসায় নিয়ে যান হারুন। সেখানেও সৎ মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর দিন হারুন তার সৎ মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে আসেন। পরে ওই মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলা ও জখম দেখতে পান তার মা।
এরপর মেয়েটির মা তানিয়া সুলতানা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় হারুনকে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
নগরকান্দা থানার উপ-পরিদশর্ক (এএসআই) অসীম মন্ডল ২০২০ সালের (৩০ এপ্রিল) হারুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। দীর্ঘ শুনাণি শেষে আদালত বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।
ফরিদপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।