শেরপুরের শ্রীবরদীতে রাস্তা ছেড়ে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে গেছে দ্রুতগতির বাস। এ সময় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১টি কাঠবোঝাই ট্রলিকে ধাক্কা দিলে ট্রলির হেলপার মো: হামিদুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হয় এবং আহত হয়েছেন বাসের অন্তত ১০ জন যাত্রী।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে শ্রীবরদী উপজেলার কুড়িকাহনীয়া ইউনিয়নের কুরুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত হামিদুর রহমান শ্রীবরদী উপজেলার বড় পোড়াগড় এলাকার মো: মফিজ উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মা-মনি পরিবহনের ১টি বাস বকশীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় চালক তার হেল্পারকে বাস চালাতে দিয়ে নিজে পেছনের সিটে ঘুমাচ্ছিলেন।
পরে সকাল ৮টার দিকে শ্রীবর্দী উপজেলার কুরুয়া পশ্চিম পাড়া এলাকায় পৌঁছালে বাসটি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ১টি কাঠ বোঝাই ট্রলিকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ি ভিতর ঢুকে যায়। তবে এ ঘটনায় বাড়ির কেউ হতাহত হয়নি। এ সময় ট্রলির সহকারী ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং বাসের অন্তত আরও ১০ জন যাত্রী আহত হন।
শেরপুরের শ্রীবরদীতে বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: কাইয়ুম খান সিদ্দিক জানান, দুর্ঘটনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। জেলা হাসপাতালে একাধিক লোকদের ভর্তি হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।