পাইকারি বাজারে আলুর দাম ৫২ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি বেগুনের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা, মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়।
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাজারে নিত্যপণ্যের দাম কমেছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছিলো তা সত্যি হয়নি ২ সপ্তাহ পরও। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ভোক্তাদের অস্বস্তির মধ্যে গত রবিবার (১৮ আগস্ট) অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা মো: সালেহউদ্দিন আহমেদ স্বীকার করেন, বাজারে চাঁদাবাজি থেমে নেই। এসব ঠেকাতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে ভোক্তারা এখনও কোনো সুফল পাননি। দাম কমানোর আভাস নেই বিক্রেতাদের কণ্ঠেও।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ও রসুন বিক্রেতা মো: আব্দুল জব্বার বলেন, এখন পর্যন্ত মালের দাম আগের মতোই স্থীর রয়েছে। তেমন কোনো পরিবর্তন নেই।
একই সুর তেজকুনিপাড়া বাজারের পেঁয়াজ ও রসুন বিক্রেতা মো: আকাশেরও। তিনি বলেন, দাম কমে নাই কোনো পণ্যেরই । বরং কিছু কিছু জিনিসের দাম আরো বেড়েছে। বন্যার প্রভাবে সামনের দিনে দাম আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) এই দুই বাজার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাজারে বেগুনসহ বেশ কিছু সবজির দাম বেড়েছে। কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। আর ক্রেতাদের আলু ও পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে আগের দামেই।
তবে পাইকাররা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে আলুর দাম কেজিতে মাত্র ২ টাকা কমেছে। কিন্তু খুচরা বাজারে ১ টাকাও কমেনি, আগের মতোই ৬০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার বাজারে।
কারওয়ান বাজারের আলু বিক্রেতা মো: লাল মিয়া জানান, আমার আলু মুন্সীগঞ্জ থেকে আইছে। গেল সপ্তাহে আলু পাইকারিতে বিক্রি করেছি ৫২ টাকা কেজি, আর আজ ৫০ টাকা করে বিক্রি চলতেছে।
খুচরা বাজারে চড়া বেগুনের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি কেজি বেগুনের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা, মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। তবে বন্যার কারণে সবজির দামে খুব বেশি প্রভাব পড়েনি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে কমেছে ৬০ টাকা, এখন প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচই বেশি বিক্রি হচ্ছে। দেশি মরিচের পরিমাণ খুবই অল্প। তবে পেয়াজ, রসুন ও অন্যান্য পণ্যের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে।